দীর্ঘ ৫ বছর পর ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ পেলেন ভাতাড়ের খেড়ুর ছাতনীর জবকার্ড প্রাপ্তরা

28th January 2020 বর্ধমান
দীর্ঘ ৫ বছর পর ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ পেলেন ভাতাড়ের খেড়ুর ছাতনীর জবকার্ড প্রাপ্তরা


 

নানা টানাপোড়েনে ও রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ভাতারের আমারুন দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ ছিল। বিভিন্ন কারণে পঞ্চায়েত বন্ধ ছিল আড়াই বছর। এইজন্য আমারুন দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজ বন্ধ ছিল ,শুধু তাই নয় সমগ্র উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ ছিল এই গ্রাম পঞ্চায়েতে।
২০১৮  সালে পুনরায় পঞ্চায়েত দখল করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।  এরপর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ দ্রুতগতিতে শুরু হয়। কিন্তু ১০০ দিনের কাজ বন্ধ ছিল, আজ থেকে ১০০ দিনের কাজ শুরু হয় খুশি খেরুর -ছাতনী গ্রামের মানুষজন শুধু তাই নয় গোটা অঞ্চল এই ১০০ দিনের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। খেরুর গ্রামের বাসিন্দা বসন্ত ঘোষ জানান,পাঁচ বছর ধরে বহুবার গ্রাম পঞ্চায়েতে গেছি কিন্তু কোন কাজ পায়নি আজ থেকে ১০০ দিনের কাজ শুরু হলো আমরা খুব খুশি হয়েছি এই ১০০ দিনের কাজে সাব ক্যেলেন সংস্কার হচ্ছে, এতে করে আমরা যেমন কাজ পেলাম অপরদিকে এলাকার চাষিরা দারুন ভাবে উপকৃত হলো। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজয় সিং জানান, বারবার ব্লকে জানিয়েছিলাম ১০০ দিনের কাজের জন্য ।১০০ দিনের কাজ শুরু হয়েছে ,খুশি এলাকার মানুষজন। এই গ্রামে প্রায় ১৫ দিন ধরে কাজ হবে।প্রায় এক হাজার মানুষ কাজ পাবে এই ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে।দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ১০০ দিনের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ।

   ছবি - আমিরুল ইসলাম





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।